নতুন ম্যালওয়্যার ‘এজেন্ট স্মিথ’ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীরাই এর প্রধান ভুক্তভোগী।এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিরাপত্তা গবেষণা ফার্ম চেকপয়েন্ট।
চেকপয়েন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ২৫ মিলিয়ন ডিভাইস এই ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে শুধু ভারতেই আক্রান্ত ডিভাইসের সংখ্যা ১৫ মিলিয়ন।
#এজেন্ট স্মিথের আক্রমণের ধরন
অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া এজেন্ট স্মিথ মূলত একটি অ্যাডওয়ার, যা ব্যবহারকারীর ফোনে অযাচিতভাবে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করছে। ম্যালওয়ারে আক্রান্ত হলে স্মার্টফোনে থাকা থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো ব্যবহারের সময় এই নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। এসব বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করছে ম্যালওয়্যারটি। তবে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির কোনো অভিযোগ নেই ম্যালওয়্যারটির বিরুদ্ধে।
#যেভাবে ছড়াচ্ছে
গুগল প্লে স্টোর ব্যতীত অ্যাপ ডাউলোডের অন্য কিছু থার্ড পার্টি প্লাটফর্ম বিশেষত নাইন-অ্যাপস থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারটি ছড়াচ্ছে। থার্ড পার্টি প্লাটফর্ম থেকে আক্রান্ত কোনো অ্যাপ ইন্সটলের পর তা স্মার্টফোনে আগে থেকে ইন্সটল থাকা অ্যাপগুলোকে আক্রান্ত করছে। ফলে আক্রান্ত অ্যাপগুলো ব্যবহারের সময় পপ আপ উইন্ডোতে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে। এমনকি আক্রান্ত ডিভাইসে ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা টুইটারের মতো অ্যাপেও বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে।

ম্যালওয়্যারটি সংক্রমণের পর তা ফোনে থাকা অ্যাপগুলোকে প্লে স্টোর থেকে আপডেট গ্রহণে বাধা দিচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েডের পুরানো সংস্করণ যেমন ললিপপ, মার্শম্যালো ও নোগাটে চলা স্মার্টফোনগুলোকে বেশি সংক্রমিত করছে ম্যালওয়্যারটি।
#আক্রান্ত হয়েছেন কিনা বুঝবেন যেভাবে
আপনি যদি প্লে স্টোর ব্যতীত অন্য কোন প্লাটফর্ম থেকে নিয়মিত অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করেন তাহলে আপনার এজেন্ট স্মিথ ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে কিছু লক্ষণ যাচাই করা যেতে পারে।
- যদি অযাচিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়।
- গুগল প্লে থেকে অ্যাপ আপডেট না হয়।
- স্মার্টফোনের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায় কিংবা অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়।
#আক্রান্ত হলে করণীয়
এজেন্ট স্মিথ দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রথমেই যেসব অ্যাপ থেকে বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে সেগুলো ফোন থেকে আপডেট করে নিতে হবে। এরপর ফোনে থাকা সকল অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে আপডেট করে নিতে হবে ও স্মার্টফোনের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের কোনো আপডেট থাকলে তা করে নিতে হবে।
এরপরেও সমাধান না হলে ফোনটির ডেটা ফ্যাক্টরি রিসেট করে নিতে হবে। পরবর্তীতে গুগল প্লে ব্যতীত অন্য কোন প্লাটফর্ম থেকে অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
চাইলেই স্মার্টফোন ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এই ধরনের ম্যালওয়্যারের আক্রমণ ঠেকানো যায়। সে সম্বন্ধে বিস্তারিত মিলবে পান্ডুলিপির এই প্রতিবেদনে।