বরফ দেবেন নাকি সেঁক দেবেন?

শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণায় ভোগেন না, এমন মানুষ নেই। কখনো মেরুদণ্ডের ব্যথা, কখনো কোমরের ব্যথা, কখনোবা পায়ের ব্যথা চরম ভোগায়। এসব ব্যথা থেকে স্বস্তি পেতে গরম ও ঠান্ডা পানির টোটকা ব্যবহার করা যায়। কোন ধরনের ব্যথায় কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সম্পর্কে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।

পিঠের ব্যথা
অনেক দিনের পিঠব্যথায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা ভাবেন গরম পানিতে একটু গোসল করলে আরাম লাগবে। গরম পানির সেঁক দিলে স্বস্তি পাওয়া যাবে। তবে বিষয়টি এমন নয়। বরং বরফের ঠান্ডা প্যাক ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্যথার জায়গায় দু-তিন দিন আইসপ্যাক দিলে পিঠের ব্যথা কমে যায়। তবে যদি ধারাবাহিকভাবে পিঠে ব্যথা করে, সে ক্ষেত্রে গরম সেঁক ভালো ফল দিতে পারে।

ব্যথা
কাজ শুরুর আগে সবারই উচিত গা গরম করে নেওয়া। হাঁটু আর কনুইটা একটু নড়াচড়া করে নেওয়া। এমনটা না করে কাজ শুরু করলে ব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বরফ-থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। তবে কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে নয়, অন্তত ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে। এতে আরাম পাওয়া যাবে।

গোড়ালির ব্যথা
একটু বেশি হাঁটাহাঁটি করলে বা জুতাটা কায়দামতো না হলে গোড়ালির ব্যথা হয় অনেকেরই। এই ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য লোকজন গরম সেঁক দিতে বলে। সেটা ঠিক উপদেশ নয়। বরং ঠান্ডা পানি ব্যবহারে গোড়ালির ব্যথা প্রশমিত হয়।

গেঁটে বাত
গেঁটে বাতের ব্যথা কী যে যন্ত্রণার, যার আছে সে-ই বোঝে। এখন প্রশ্ন হলো, এই ব্যথা কমানোর উপায় কী? ঠান্ডা, গরম, নাকি উভয়ের ব্যবহার? বিশেষজ্ঞরা বলেন, গরম সেঁক দিলে ব্যথার স্থানের মাংসপেশিগুলো শিথিল হয়। এতে করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। আবার বরফ ব্যবহারে প্রদাহ কমে। ফলে একবার গরম, আরেকবার ঠান্ডা ব্যবহারে গেঁটে বাতে আরাম পাওয়া যায়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *