অনেক সময় ডকুমেন্ট স্ক্যান করার প্রয়োজন হয়। স্ক্যানার সব সময় থাকে না বলে কি স্ক্যান আটকে থাকবে? স্মার্টফোনের এ যুগে স্ক্যানারের বিকল্প হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। তেমনি দুটি অ্যাপ নিয়ে এ প্রতিবেদন।
#ক্যাম স্ক্যানার…
কোনো ডকুমেন্ট থেকে কোনো কিছু স্ক্যান করার বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ ক্যাম স্ক্যানার। এটির সাহায্যে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যানের কাজটি করা যাবে। অর্থাৎ মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি স্ক্যান কপিতে রূপান্তর হবে। অ্যাপটি স্ক্যান করা ইমেজের টেক্সট ও গ্রাফিক্স ক্লিয়ার ও শার্প করে হাই রেজুলেশনের ডকুমেন্টে রূপান্তর করে।
এটি দিয়ে ডকুমেন্টের নাম এডিট, ওয়াটার মার্ক যুক্ত করা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে ডকুমেন্ট সম্পর্কে টীকা যুক্ত করা যাবে। গোপনীয় ফাইল হয়ে থাকলে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করেও রাখা যাবে। ক্যাম স্ক্যানারের সাইটে লগ ইন করা থাকলে ফাইলগুলো ক্লাউডে ব্যাকআপ থাকবে এবং এ ফাইলগুলো স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও কম্পিউটার থেকেও এক্সেস করা যাবে। এ ছাড়া গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্সসহ বেশ কিছু থার্ডপার্টি ক্লাউডে ব্যাকআপ রাখার সুবিধা মিলবে অ্যাপটিতে।
এ ঠিকানা থেকে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। ৪.৬ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি গুগল প্লে থেকে ১০ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে, এবং আইওএস ব্যবহারকারীরা এ ঠিকানা থেকে অ্যপটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
#স্ক্যানবুট…
অ্যাপটি অনেকটা ক্যাম স্ক্যানার অ্যাপের মতই কাজ করে। এটির সাহায্যে কোনো ডকুমেন্ট স্ক্যান করার পর ফাইলটিকে সরসারি পিডিএফে পরিণত করা যাবে। স্ক্যান করা ফাইল শেয়ার করতে রয়েছে বিশেষ ফিচার। এ ফিচার ব্যবহার করে গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, ওয়ানড্রাইভে শেয়ার করা যাবে। অ্যাপটির সাহায্যে ডেস্কটপ অনুযায়ী উচ্চ রেজুলেশনের পিডিএফ তৈরি করা যাবে। অনেক বেশি ফাইল স্ক্যান করা হলে তা সহজে খুঁজে পেতে রয়েছে সার্চ ফিচার। সম্পূর্ণ অফলাইনে কাজ করবে অ্যাপটি। ফলে একবার ডাউনলোড হলে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না। এ ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। ৪.৩ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি গুগল প্লে থেকে ১০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।